আন্তর্জাতিক

ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা করার কোনও প্রয়োজন নেই : মোহন ভাগবত

Posted on November 19, 2025 • 0 Views

ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা করার কোনও প্রয়োজন নেই : মোহন ভাগবত
চ্যানেল ওম নিউজ ডেস্ক
‎দেশের বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষকেই “হিন্দু” হিসেবে পরিচিত করার বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত। মঙ্গলবার গুয়াহাটিতে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন তিনি।

‎ভাগবত বলেন, “হিন্দু” শব্দটি একটি সংকীর্ণ ধর্মীয় পরিচয় নয়, বরং এটি একটি বৃহত্তর সাংস্কৃতিক ও সভ্যতাগত পরিচয়, যা হাজার বছরের সংস্কৃতিগত ধারাবাহিকতার ফলস্বরূপ গড়ে উঠেছে। তিনি আরও বলেন, “যদি মুসলিম ও খ্রিস্টানরা নিজেদের পূজা, রীতিনীতি এবং প্রথা না বদলিয়েও, এই দেশের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়, ভারতীয় সংস্কৃতি অনুসরণ করে এবং ভারতীয় পূর্বপুরুষদের প্রতি গর্ব অনুভব করে, তবে তারা হিন্দু।”

‎ভাগবত দাবি করেছেন, “ভারত এবং হিন্দু এক ও অভিন্ন।” তিনি বলেন, ভারত একটি ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ হিসেবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়ার প্রয়োজন নেই, কারণ ভারতের সভ্যতাগত সত্ত্বা ইতোমধ্যেই সেই ধারণাকে প্রতিফলিত করে। তাঁর মতে, হিন্দু পরিচয় একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ছাতার মতো, যা বিভিন্ন রীতিনীতি ও সাংস্কৃতিক চর্চাকে ধারণ করতে সক্ষম।

‎ভাগবত তাঁর বক্তব্যে আরো বলেন, আরএসএস-এর প্রতিষ্ঠা কোনো সম্প্রদায়কে ক্ষতি করার জন্য নয়, বরং এটি দেশের জাতীয় ঐক্য ও চরিত্র গঠনের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিনি বলেন, “ভারতের বৈচিত্র্যের মাঝে ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্য আরএসএস-এর কৌশলই হলো আমাদের পদ্ধতি।” এছাড়া, তিনি যুবসমাজকে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন, এবং ভুয়া খবর ও সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করা প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে সচেতন থাকার আহ্বান জানান।

‎অসমের ‘জনসংখ্যা পরিবর্তন’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ভাগবত বলেন, এই বিষয়টির প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখা জরুরি। তিনি অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং ধর্মান্তরের বিষয়ে সতর্কতার কথাও উল্লেখ করেন, যা তাঁর মতে সামাজিক বিভাজন সৃষ্টি করতে পারে।

‎তিনি জনসংখ্যা নীতিতে একটি তিন সন্তানের বিধি অনুসরণের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন, যা বিশেষভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য প্রযোজ্য হতে পারে।

‎ভাগবত বলেন, ভারতের ঐক্য ও বৈচিত্র্যের উদাহরণ হিসেবে উত্তরের ভূমিকা অপরিসীম। তিনি লাচিত বরফুকন এবং শ্রীমন্ত শঙ্করদেবের মতো মহান সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের জাতীয় ঐতিহ্যের অঙ্গ হিসেবে উল্লেখ করেন।

‎সাম্প্রতিক মন্তব্যে মোহন ভাগবত ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং জাতীয় ঐক্যকে আরও দৃঢ় করার উপর জোর দিয়েছেন, এবং তরুণদের মধ্যে একতা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার জন্য আরএসএস-এর ভূমিকা তুলে ধরেছেন।
ফটোকার্ড

Share this post